প্রথমে বাইতুল মুকাররম চলে যেতে হবে। দক্ষিণ গেইট থেকে একটু সামনে এগুলেই বাস স্ট্যান্ড। বোরাক পরিবহনের এসি বাস জনপ্রতি ৭০ টাকা নেবে। নন-এসি বাসে ৬৫ টাকা, সো এসিতে যাওয়াই বেটার হবে।
নামবেন সোনারগাঁও মুগড়াপাড়া বাসস্ট্যান্ডে। ওখান থেকে অটোতে জনপ্রতি ১০ টাকা ভাড়া লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশন পর্যন্ত। ওখানের সবাই জাদুঘর বললেই চিনে, ‘লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশন’ বললে হয়তো চিনবে না। ওখানের জাদুঘরে বেশি সময় লাগবে না, তবে আশপাশটা বেশ সাজানো-গোছানো, ওটা একবেলা সময় নিয়ে বেড়ানো যায়।
লোকশিল্প ফাউন্ডেশনের ভেতরে সর্দার বাড়িতে ঢুকতে এক্সট্রা ১০০ টাকা টিকিট কাটা লাগে। একটা পুরাতন বাড়ি, ভেতরে কোনো প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন নেই। কারো জন্য টাকা খরচ কোনো ব্যাপার না হলে ভেতরে যেতে পারেন, তবে আমার পরামর্শ হলো হুদাই ১০০ টাকা খরচ করার দরকার নেই। বাইরে থেকেই বাড়িটার ভালো ভিউ পাওয়া যায়, পুকুরপাড়ে সময় কাটাতে পারবেন।

একবেলা সেখানে কাটিয়ে পরের গন্তব্য হলো পানাম সিটি। পায়ে হেটে ১০/১৫ মিনিটের বেশি লাগে না। হাটতে না চাইলে অটোতে জনপ্রতি ১০ টাকা করে যেতে পারেন। পানামে বেশি সময় লাগবে না। তবে ওটা বেশ এনজয় করার মতো, বিশেষ করে আপনাদের ইতিহাস আর প্রত্নতাত্ত্বিক ব্যাপারস্যাপার যদি ভালো লাগে আরকি!
পানামে দিনের বাকি সময়টা, অর্থাৎ বিকেল পর্যন্ত কাটাতে পারেন।
এছাড়াও সোনারগাঁওয়ের আশেপাশে আরো কিছু জায়গা আছে—তবে সেসব খুব একটা উল্লেখযোগ্য না। অর্থাৎ না গেলে মিস করার কিছু নেই। কেউ ঢাকা থেকে গিয়ে দিনেদিনে ঘুরে আসতে চাইলে অন্য কোথাও আর না যাওয়াটাই বেটার হবে।
লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশনের টিকিট ৫০ টাকা জনপ্রতি। আর পানাম নগরে টিকিট মূল্য জনপ্রতি ১৫ টাকা।
নাস্তা মোগড়াপাড়া স্ট্যান্ড থেকে করে গেলেই ভালো। দুপুরের লাঞ্চ লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশনের সামনের রেস্টুরেন্ট থেকে সারতে পারেন, তবে সেখানে খাবারের দাম কিছুটা বেশি।
পানাম থেকে সরাসরি অটোতে করে আবার মুগড়াপাড়া ব্যাক করবেন। ওখান থেকে ফুট ওভারব্রিজ ক্রস করে অপোজিট রাস্তায় চলে আসবেন। সেখান থেকে বোরাকের বাস পেয়ে যাবেন। বোরাক ছাড়াও নন-এসি ‘দোয়েল’ ও ‘স্বদেশ’ বাস এভেইলেবল পাবেন। বাসে করে গুলিস্তান (বাইতুল মোকাররম), ওখান থেকে আপনার আপন গন্তব্যে; এইতো!