
গল্প – জামালের ঈদ
জামালের ভীষণ মন খারাপ। অন্যসময় বাসায় অল্প পরিমাণে হলেও কিছু ফিরনি পায়েশ রান্না হয় ঈদ উপলক্ষে। কিন্তু এবারের ঈদে কোনো আনন্দ নেই। ডাক্তার সাহেব প্রতিবছর চাঁদ রাতে বস্তিতে এসে জামালদের
জামালের ভীষণ মন খারাপ। অন্যসময় বাসায় অল্প পরিমাণে হলেও কিছু ফিরনি পায়েশ রান্না হয় ঈদ উপলক্ষে। কিন্তু এবারের ঈদে কোনো আনন্দ নেই। ডাক্তার সাহেব প্রতিবছর চাঁদ রাতে বস্তিতে এসে জামালদের
আমি আমার বউকে প্রচন্ড ভালোবাসি। তার সাথে প্রায়ই মতের অমিল হয়, তবু আমি চুপচাপ থাকি। আমি সচেতনভাবেই ঝগড়া এড়িয়ে যাই। হয়তো ঝগড়া করতে গিয়ে এমন কিছু বলে বসতে পারি—যাতে আমার
সে জানালার পাশে দাঁড়িয়ে বহুদূরে ফ্যালফ্যাল করে চেয়ে থাকে। কী জানি কী ভাবনায় বিভোর হয়ে ওঠে তার মন প্রাণ। তার হৃদয়ের গভীরে বেজে ওঠে বিষাদের বাঁশি। দিন শেষে সকল আনন্দের
আফ্রিকার সবুজ প্রান্তরে, ঘানার ধূসর মাটির কোলে, আল-হাসান আব্দুল্লাহ নামের এক দরিদ্র কৃষক তার দিনাতিপাত করতেন। জীবনের প্রতিটি বাঁকে অভাব আর কষ্টের সাথে তার ছিল নিত্যদিনের লড়াই। শরীর যখন বার্ধক্যের
বিশ্বাস দুই ধরণের। একটা হলো যৌক্তিক বিশ্বাস, অন্যটা অন্ধ বিশ্বাস। তবে পুরোপুরি অন্ধবিশ্বাস কখনো টিকে থাকতে পারে না। অন্ধবিশ্বাসগুলো কালের প্রবাহে হারিয়ে যায়। কিন্তু, দুর্বল যুক্তির উপরে ভর করে কিছু
পশ্চিমা সভ্যতা হলো মুক্ত পৃথিবী। এই পৃথিবীতে জীবনকে যাপনের জন্য কোনো নৈতিক সীমানা নাই, তাই সীমালঙ্ঘনেরও কোনো বালাই নাই। পশ্চিম প্রগতিশীল। এই প্রগতির কোনো ডিভাইন লক্ষ্য উদ্দেশ্য নাই। তাই পশ্চিমে
আল্লাহ প্রত্যেক মানুষকেই এমন যোগ্যতা দিয়েছেন যে—সে কোনোমতে দুনিয়া থেকে আল্লাহ প্রদত্ত রিজিক জোগাড় করে জীবন কাটিয়ে দিতে পারে। বেশিরভাগ মানুষ আসলে তা-ই করে। তারা তার জন্য একটা মধ্যবিত্ত মিডিয়োকার
নামকরণের মাধ্যমে কোনো প্রতিষ্ঠানকে ‘ইসলামিক’ বানিয়ে রাখা যায় না। হালের ইসলামি ব্যাংক এবং কুষ্টিয়া ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয় এর নজির। দেখুন, ‘ইসলামিক’ শব্দটা ইউজ করে হয়তো আপনি কিছুদিনের জন্য একটা প্রতিষ্ঠানের স্বাতন্ত্র্য
কার্য-কারণ সম্পর্ক বা Cause-Effect relation বলতে বোঝায়- জগতে ঘটমান প্রত্যেকটা ঘটনার পেছনে নিশ্চিত রূপে এক বা একাধিক কারণ থাকে। অর্থাৎ জগতে যা-ই ঘটুক না কেন, তা কারণ বিনে ঘটে না।
দুই বন্ধু বসন্তের কোনো এক সুন্দর সকালে বনে বেড়াতে গেল। চার দিকে মৃদুমন্দ বাতাস বইছে। দুই বন্ধুর মেজাজ তাই বেশ ফুরফুরে। হাঁটতে হাঁটতে তারা নিজেদের অতীতের অনেক স্মৃতিচারণ করতে লাগল।
ইদানীং অনেকেই নিজেকে আলফা মেইল পরিচয় দেন। এটা নিতান্তই হাস্যরসিকতার ছলে হলেও ব্যাপারটা অনেকটা শ্রুতিকটু। শিম্পাঞ্জিদের মধ্যে যারা আলফা পুরুষ—তাদের সাথে নিজেদের তুলনা করা হলো মানুষ হিসেবে আমাদের মানবিকতাকে পাশবিক
একদিন মরে যাব। তবে এই মৃত্যু কেবল দৈহিক। রোজ হাশরে আমাদের সব ভালোমন্দের ফলাফল দেওয়া হবে বলে আমরা বিশ্বাস করি। চাকচিক্যময় পৃথিবীর দিকে তাকালে এ বিশ্বাস বারবার ভাঙতে চায়। তবু
© 2025 All Rights Reserved